ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস: জেলা প্রশাসক

ুুুুুসিএন ডেস্ক :
‘উপকূলীয় জেলা হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজার। তাই ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারের সব ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে মজবুদভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সব ধরণের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’
গতকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে কক্সবাজার ফায়ার সাভির্স এন্ড সিভিল ডিফেন্সে’র ভূমিকম্প সচেতনতা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন এসব কথা বলেন।
মহড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফায়ার সাভির্স এন্ড সিভিল ডিফেন্সে অধিদপ্তর পরিচালক এ.কে.এম সাকিল নেওয়াজ এবং কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কে থিং অং।
ভূমিকম্প সচেতনতা বিষয়ক মহড়ার অংশ হিসেবে ফায়ার সাভির্স এন্ড সিভিল ডিফেন্স’র কর্মীরা নানা সচেতনতা মূলক মহড়া প্রদর্শন করেন।
এতে কিভাবে সহজে অগ্নি নির্বাপন করা হয় তা দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে কিভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে বহুতল ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়। কিভাবে উদ্ধার কর্মীরা আগুনের ভেতর ঢুকে মানুষকে উদ্ধার করবে। ভুমিকম্পের সময় কিভাবে আহত মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কিভাবে ভূমিকম্পের সময় ভবনের ভিতর আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধার করা হয় ইত্যাদি সচেতনতামূলক মহড়া প্রদর্শন করেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
মহড়া অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন আরো বলেন, ‘সচেতনতা ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোন ধরনের দূর্ঘটনার ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায় না। দুর্ঘটনা ঘটার পর যে সময় ব্যবধানে ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে পৌঁছায় তাতে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই সে সব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস আজ যে মহড়াগুলো দেখালেন তা দেখে বলতে পারি ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলায়। আমরা কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস উন্নয়নের জন্য জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে অধিদপ্তর পরিচালক এ.কে.এম সাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরী করি না। যদি আমরা বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরী করি ৯০ শতাংশ কমে যাবে ভূমিকম্প ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি।’

পাঠকের মতামত: